যে ব্যক্তি মানুষ হাসানোর জন্য মিথ্যা বলে তার জন্য ধ্বংস!

tumblr_lie2yjztTt1qc6vgqo1_500_large
মিথ্যা ইসলামে সবচেয়ে নিকৃষ্ট হারাম গোনাহগুলির অন্যতম। মিথ্যা বলা মুনাফিকের অন্যতম চিহ্ন। মিথ্যা সর্বাবস্থায় হারাম। সবচেয়ে জঘন্যতম মিথ্যা হলো আল্লাহ বা তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নামে, হাদীসের নামে বা ধর্মের নামে মিথ্যা বলা। এরপর জঘন্য মিথ্যা হলো মিথ্যার মাধ্যমে কোনো মানুষের অধিকার নষ্ট করা, সম্পদ দখল করা বা মিথ্যা কথা বলে কিছু বিক্রয় করা। বিভিন্ন হাদীসে এরূপ কর্মের জন্য কঠিন অভিশাপ ও কঠিন শাস্তির কথা বলা হয়েছে।

ইসলামে হাসি-মস্করা, আনন্দ ও বিনোদনকে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। কিন্ত সে জন্য মিথ্যা বলা বৈধ করা হয় নি।
বিস্তারিত পড়ুন

Posted in আত্মশুদ্ধি | এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান

আল্লাহর আইন বাস্তবায়নের অপরিহার্যতা – পর্ব-১/২

310950_514568115266229_1673503150_n
“আল্লাহর আইন বাস্তবায়ন এবং এর পরিপন্থী বিষয় বর্জনের অপরিহার্যতা” শীর্ষক এ ছোট্ট পুস্তিকাটি আমি তখনি অনুবাদের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলাম যখন দেখলাম এ যুগের কিছু সংখ্যক লোক মানবরচিত আইন(গণতন্ত্র, সেকুলারিজম) বিশেষজ্ঞ ও তাদের অনুসারী গায়রুল্লাহর বিধান এবং কুরান-সুন্নাহ পরিপন্থী আইন প্রতিষ্ঠা করতে চায়, কেউ অজ্ঞতার কারণে, কেউ আল্লাহ ও রাসূলের প্রতি বিদ্রোহ, পোষণ করার কারণে।

আমি আশা করি আমার উপদেশাবলি অজ্ঞদের জ্ঞান প্রদান, গাফেলদের সতর্ক করা এবং আল্লাহর বান্দাদের সিরাতে মুস্তাকীমের উপর টিকে থাকার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এরশাদ করেছেন:

وَذَكِّرْ فَإِنَّ الذِّكْرَى تَنْفَعُ الْمُؤْمِنِينَ

“উপদেশ দাও, কেননা উপদেশ প্রদান মুমিনদেরকে উপকৃত করবে” (আয-যরিয়াত:৫৫)।

তিনি আরও এরশাদ করেন:

وَإِذْ أَخَذَ اللَّهُ مِيثَاقَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ لَتُبَيِّنُنَّهُ لِلنَّاسِ وَلَا تَكْتُمُونَهُ

 “স্মরণ কর ঐ সময়ের কথা যখন আল্লাহ ঐ সব লোকদের থেকে প্রতিশ্রুতি নিচ্ছিলেন যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছিল, যে তোমরা অবশ্যই মানুষের সামনে তা প্রকাশ করবে এবং তা মোটেও গোপন রাখবে না” ( সূরা আলে ইমরান: ১৮৭)।

আল্লাহ যেন এ নছীহতের মাধ্যমে আমাদের উপকৃত করেন। বিস্তারিত পড়ুন

Posted in ঈমান, কুফর, গণতন্ত্র | এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান

আল্লাহর আইন বাস্তবায়নের অপরিহার্যতা – পর্ব-২

62665_510663215656719_1956233829_n
আল্লাহর রহমত ও তাঁর হেকমতের দাবী হলো তাঁরই আইন ও অহী অনুযায়ী বান্দাহদের মধ্যে শাসন পরিচালিত হবে। কেননা মানবীয় যাবতীয় দুর্বলতা, প্রবৃত্তির অনুসরণ, অক্ষমতা থেকে আল্লাহ পবিত্র। তিনি সর্বদাই বান্দার যাবতীয় অবস্থা সম্পর্কে অবহিত। তাদের বর্তমান ও ভবিষ্যতে কিসে কল্যাণ আর কিসে অকল্যাণ তা তিনি ভাল করেই জানেন।

মানুষের পারস্পরিক মতবিরোধ, দ্বন্দ্ব এবং জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁর পক্ষ থেকে আইন ও বিধান ঠিক করে দেওয়া তাঁর বিশেষ রহমতের অন্তর্ভুক্ত। কেননা তাঁর আইন ও বিধানই ইনসাফ ও কল্যাণমূলক ফায়সালা দিতে পারে। তদুপরি মানসিক শান্তি ও সন্তুষ্টি লাভ করা যায়। বান্দাহ যখন জানতে পারে এ বিষয়ে যে ফয়সালা দেয়া হয়েছে তা সর্বজ্ঞানী সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর হুকুম, তখন সে তা সন্তুষ্ট চিত্তে গ্রহণ করতে পারে।
যদিও সে ফায়সালা তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে থাকে।

পক্ষান্তরে যখন সে জানতে পারে এ আইন তার মত মানুষের পক্ষ থেকে এসেছে যারা মানবীয় দুর্বলতা থেকে মুক্ত নয়, তখন সে সন্তুষ্টচিত্তে তা গ্রহণ করতে পারে না। ফলে মতবিরোধ ও দ্বন্দ্বের নিষ্পত্তি ঘটেনা বরং তা আরও দীর্ঘায়িত হয়। তাই আল্লাহ তাঁর রহমত ও করুণা হিসেবে তাঁর আইন অনুযায়ী শাসন পরিচালনাকে অত্যাবশ্যকীয় করে সুস্পষ্টভাবে তার পথনির্দেশ দিয়েছেন। বিস্তারিত পড়ুন

Posted in ঈমান, কুফর | এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান

সেকুলারিজম বা ধর্মনিরপেক্ষতা কী ?!

secularism
যে মতবাদটিকে ইংরেজিতে secularism বলা হয় তার আরবি প্রতিশব্দ হিসেবে বহুলভাবে علماني [‘আলমানি] শব্দটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আর বাংলায় এর (সত্যের অপলাপকৃত) অনুবাদ করা  হয় ‘ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ’ শব্দ দিয়ে। তাহলে দেখা যাক সে সেকুলারিজম (বা তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষতা) কী? ছোট্ট একটি প্রশ্ন, কিন্তু তার উত্তর চাই স্পষ্ট, নিখুঁত ও বিস্তারিত। এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর প্রত্যেক মুসলিমের জানা-থাকা জরুরি। আল্লাহর মেহেরবানী যে, এ পর্যন্ত সেকুলারিজমের উপর বহু গ্রন্থ লিখা হয়েছে, আমাদের কর্তব্য শুধু জানা ও আমল করা।

এবার প্রশ্নের উত্তর অনুসন্ধান করি, তবে এ জন্য আমাদের বেশী কষ্ট করতে হবে না, কারণ যেখানে ‘সেকুলারিজম’ বা তথাকথিত ‘ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ’ মতবাদের জন্ম, সে পাশ্চাত্য দেশসমূহে লিখিত অভিধানগুলো আমাদেরকে সেটার অর্থ খোজা ও সন্ধান করার কষ্ট থেকে মুক্তি দিয়েছে। ইংরেজি অভিধানে secularism শব্দের নিম্নরূপ অর্থ এসেছে:

১. পার্থিববাদী অথবা বস্তুবাদী।

২. ধর্মভিত্তিক বা আধ্যাত্মিক নয়।

৩. দ্বীনপালনকারী নয়, দুনিয়াবিমুখ নয় [a]

একই অভিধানে secularism শব্দের সংজ্ঞায় এসেছে:

  • “secularism এমন একটি দর্শন, যার বক্তব্য হচ্ছে, চরিত্র-নৈতিকতা ও শিক্ষা ধর্মীয় নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে না”।

‘ব্রিটিশ বিশ্বকোষ’-এ আমরা দেখি, সেখানে সেকুলারিজম সম্পর্কে বলা হয়েছে: “সেকুলারিজম একটি সামাজিক আন্দোলন, বিস্তারিত পড়ুন

Posted in কুফর | এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান

ভয় ও সাহস-২১ জন সাহসী ব্যক্তির উদাহরণ

23b8a02bc185bc2f1e7706e0fc2bf699_i
২২৪ আবু হুরাইরা বর্ণনা করেন, “একজন দুর্বল মুমিন অপেক্ষা একজন শক্তিশালী মুমিন আল্লাহর নিকট বেশি প্রিয়’। (মুসলিম)

২২৫ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রায়শই দুয়া করতেন, “ইয়া আল্লাহ ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই দুশ্চিন্তা ও দুঃখবোধ থেকে; উদাসীনতা ও অলসতা  থেকে;  কাপুরুষতা, কৃপণতা এবং বার্ধক্যের চরম পর্যায় থেকে, এবং আরও আশ্রয় চাই কবরের আযাব হতে’ (বুখারী-মুসলিম) বিস্তারিত পড়ুন

Posted in অনুপ্রেরণাদায়ী ঘটনা, ইতিহাস | এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান

মুসলিম বিশ্বে গণতন্ত্রায়নের সঙ্কট ও সম্ভাবনা

keep-calm-and-democracy-diedসৌজন্যেঃ আমার দেশ . ১৪আগস্ট ২০১৩ মুসলিম বিশ্ব দেখল মুসলিমদের রক্তে নীলনদ কীভাবে লালনদ হয়ে উঠল। কীভাবে নীলনদের ধারার সঙ্গে মুসলিম সন্ত্রাসীদের (ধর্মনিরপেক্ষ ও পশ্চিমা মোড়লদের মতে) রক্ত ধারা বয়ে গেল। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রক্ষমতার জন্য আরও একবার মুসলিমরা এপ্রিল ফুলের মতো গণতন্ত্রের ফুলে পরিণত হলো। তিন তিনবার নির্বাচনের পরীক্ষা দিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের রায় নিয়ে ক্ষমতায় গিয়েও মডারেট মুসলিম ব্রাদারহুড শেষ রক্ষা পেল না—বিশ্বগণতন্ত্রের মোড়ল আমেরিকা-ইসরাইলের অনুগত মিসরীয় সেনাবাহিনীর হাত থেকে। আরব বসন্তের গর্ভে জন্ম নেয়া মুরসিকে বিতাড়িত করে সেই স্বৈরশাসক মোবারককে মুক্ত করে পুরস্কৃত করা হলো। এমন ঘটনার পর মুসলিম বিশ্বের আজকের তরুণরা যদি গণতন্ত্রের রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে বাকি বিশ্বকে তা হাসি মুখেই গ্রহণ করতে হবে। যে কোনো পন্থা ও ব্যবস্থার মাধ্যমে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার মানবিক অধিকার তরুণদের রয়েছে। সেনা কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণাধীন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে এই অভিযানে মারা গেছে ৫২৫ জন। অপরদিকে মুসলিম ব্রাদারহুড দাবি করেছে, দুই হাজার ৬০০ জন মারা গেছে। আমরা নব্বইয়ের দশকে আলজেরিয়ায় দেখেছি, ইসলামিক স্যালভেশন ফ্রন্ট সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয়ী হওয়ার পরও সেনাবাহিনী সে ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকার করে এবং লিয়ামেন জেরুয়ালের নেতৃত্বাধীন সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে। লিয়ামিন জেরুয়াল তিন দশক ধরে দেশটিতে একদলীয় শাসন কায়েম করে রেখেছে। নির্বাচনের ফলাফল মেনে না নেয়ার ফল হিসেবে আলজেরিয়ার জনগণকে রক্তাক্ত গৃহযুদ্ধের মুখে পড়তে হয়েছে। আলজেরিয়ার সেক্যুলার রাজনৈতিক দলগুলো মিসরের আজকের সেক্যুলার দলগুলোর মতোই সেনা শাসককে সমর্থন জানিয়েছিল। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, মিসরও আলজেরিয়ার পরিণতির পথে হাঁটছে। মজার ব্যাপার, বিস্তারিত পড়ুন
Posted in গণতন্ত্র | এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান

ঐক্য গড়ে তোলার ভিত্তি কি?

asabiyah book

ইতিহাসের আবর্তনের সাথে সাথে মানুষ একের পর এক সভ্যতা গড়ে তুলেছে।  সময়ের প্রয়োজনে মানুষ দলবদ্ধভাবে বসবাস করেছে, আর এই জোট বা একতা গড়ে তুলতে গিয়ে সম্মুখীন হয়েছে একটি সাধারণ প্রশ্নের। আর প্রশ্নটি হলঃ কিসের ভিত্তিতে আমরা এই একতা ও ঐক্য গড়ে তুলব ? কিসের ভিত্তিতে আমরা জোটবদ্ধ জীবনের সূচনা করব?

এই ঐক্য কি কোন সাধারণ (common) দেশ (land), অঞ্চল তথা ভৌগলিক সীমারেখার উপর গড়ে উঠবে,
নাকি রক্ত সম্পর্কের উপর ,
নাকি একই ভাষার উপর?

আবার অপরদিকে অনেকে ঐক্য প্রতিষ্ঠার জন্য ভিত্তি হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন আদর্শ, বিশ্বাস, ধ্যান ধারণা আর বিবেক বুদ্ধিকে। পশুদের মধ্যেও একতা আছে, তবে তাদের মধ্যে একতার ভিত্তি কি হবে- এই সমস্যা নেই, কারণ তারা শুধুমাত্র পাশবিক তাড়নাতেই তাড়িত হয়। তাদের স্বাধীনভাবে কোন আদর্শ নির্বাচনের ক্ষমতা নেই, তাদেরকে আদর্শগত, বিশ্বাসগত ঐক্যের কথা বলাটা অর্থহীন প্রলাপ। বিস্তারিত পড়ুন

Posted in আসাবিয়াহ | এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান

আল হিন্দ (ভারতবর্ষ) যেভাবে ব্রিটিশদের মাধ্যমে লুন্ঠিত হল, রাজা হল ফকির- ফকির হল রাজা

800px-Fort_St._George,_Chennaiশিল্প বিপ্লব পূর্ব পৃথিবীতে আল হিন্দ বা ভারতবর্ষ ছিল অত্যন্ত সমৃদ্ধশালী একটি ভূমি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই ভূমির কথা উল্লেখ করেছেন আল হিন্দ বলে। ৭১২ সালে মুহাম্মদ বিন কাসিমের আগমনের মাধ্যমে এই ভারতবর্ষের সিন্ধু প্রদেশ ইসলামী খিলাফতের অন্তর্ভুক্ত হয়। বাংলা থেকে বেলুচিস্তান পর্যন্ত বিস্তৃত এই ভূমিকে একত্রিত অবস্থায় রেখে কেন্দ্রীয়ভাবে শাসন করেছে একমাত্র মুসলিম শাসকরাই।

আসুন জেনে নিই, মুসলিম শাসনাধীন অত্যন্ত সমৃদ্ধশালী ভূমি আল হিন্দ কিভাবে পরিণত হল
পৃথিবীর দরিদ্রতম তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশে। বিস্তারিত পড়ুন

Posted in ইতিহাস | এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান

অন্যের সাথে কথা বলার ১৬টি আদব

speak-correctly-510
অন্যের সাথে কথা বলার ক্ষেত্রে ইসলাম কিছু বিধিমালা প্রণয়ন করেছে যেগুলো একজন মুসলিমের মেনে চলা উচিত, সর্বদা এই দৃঢ়চিত্ত বিশ্বাস রাখা উচিত যে সে যা কিছু বলে তার জন্য জবাবদিহিতা করতে হবে এবং ভালো কথার জন্য সে পুরস্কৃত হবে ও মন্দ কথার জন্য শাস্তি পাবে।

সূরা ক্বাফের ১৮ নং আয়াতে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন বলেন যার অর্থটা এরকম, (ক্ষুদ্রএকটি শব্দও সে উচ্চারণ করে নাযা সংরক্ষণ করার …জন্য একজন সদা সতর্ক প্রহরী তার পাশে নিয়োজিত থাকে না।বিস্তারিত পড়ুন

Posted in আত্মশুদ্ধি | এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান

ইসলাম কি একটি বিজ্ঞানসম্মত ধর্ম?

research_glassesএটা একটা কমন সমস্যা যে ধর্ম আর বিজ্ঞানের সংঘাত নিয়ে অনেকেই চিন্তিত থাকেন। অনেকে “ইসলাম একটা বিজ্ঞানসম্মত ধর্ম” বুলি আওড়িয়ে থাকেন বটে কিন্তু সেটা কতটা মন থেকে বলেন, সে প্রশ্ন রয়ে যায়। আমরা নাস্তিকদের কথাবার্তায় লক্ষ করি তারা প্রায়ই বিজ্ঞানের আশ্রয় নিয়ে ধর্মকে অসার প্রমাণের চেষ্টা করে। এখন কথা হচ্ছে ধর্ম আর বিজ্ঞানকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর প্রবণতা কেন এবং এ ক্ষেত্রে আমাদের বিশ্বাসের মানদণ্ড কী হওয়া উচিত।

প্রথমত, মানুষের একটা সহজাত প্রবণতা আছে যে সে যা দেখে-সেটাই বিশ্বাস করে। “আমি নিজের চোখে দেখেছি”-বাক্যটা নিজের কথাকে জাস্টিফাই করার একটা কমন হাতিয়ার। একটা সহজ উদাহরণ দেওয়া যায়। যেসব ধর্মে মূর্তিপূজার বিধান আছে তারা যেসব দেবদেবীর পূজা করে তাদের মূর্তিগুলো মানুষের মত বা কোন জানোয়ারের মত করেই নির্মাণ করে। কেন? কারণ মানুষ কল্পনা করে নেয় আরাধ্য দেবদেবী এইরকমই হবে, যেহেতু সে নিজের চোখে নিজের দেহের আকৃতি বা পশুপাখির আকৃতি ছাড়া অন্যকিছু দেখতে পাচ্ছে না। নিরাকার স্রষ্টাকে যদি আকার দিতে চায় তবে মানুষ নিজের চোখের দৃষ্টিসীমার মধ্যে যা দেখে তা দিয়েই স্রষ্টার আকার কল্পনা করতে চায়-মূল ব্যাপারটা এ ই।
বিস্তারিত পড়ুন

Posted in ইসলাম এবং প্রচলিত ভুল ধারনা | এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান